1947 সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য ওরিয়েন্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ভারতের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে স্বনামধন্য পাবলিক সেক্টরের সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। প্রাথমিকভাবে ভারত সরকার কর্তৃক ওরিয়েন্টাল গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি লাইফ অ্যাসিউরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের একটি সহায়ক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, পরবর্তীতে সাধারণ বীমা শিল্পের জাতীয়করণের পর এটি 1973 সালে একটি সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন সত্তা হয়ে ওঠে। নয়াদিল্লিতে সদর দফতরে, কোম্পানির ভারত জুড়ে একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং নেপাল, কুয়েত এবং দুবাইয়ের মতো দেশে কাজ করে, ব্যক্তি থেকে বড় কর্পোরেশন পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রাহকদের সেবা করে।
ওরিয়েন্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তার বিমা পণ্যের ব্যাপক পোর্টফোলিওর জন্য পরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, মোটর, ভ্রমণ, বাড়ি এবং ব্যবসায়িক বীমা। এটি শহুরে এবং গ্রামীণ জনসংখ্যা উভয়ের বীমা চাহিদা পূরণের উপর একটি শক্তিশালী ফোকাস রয়েছে। কোম্পানিটি কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) এবং বৃহৎ শিল্পের মতো বিভিন্ন খাতের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য বিশেষায়িত পণ্য তৈরি করেছে। এই অভিযোজনযোগ্যতা ওরিয়েন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে বিকশিত বীমা ল্যান্ডস্কেপে তার প্রতিযোগিতামূলক প্রান্ত বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।
ওরিয়েন্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির একটি মূল শক্তি তার আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং শক্তিশালী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে। কোম্পানি ক্রমাগত একটি শক্তিশালী সচ্ছলতা অনুপাত বজায় রেখেছে, এমনকি চ্যালেঞ্জিং সময়েও দাবি পূরণ করার ক্ষমতা নিশ্চিত করে। এর গ্রাহক-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নীতি ক্রয়, দাবি প্রক্রিয়াকরণ এবং পুনর্নবীকরণ এবং ব্যাপক শারীরিক উপস্থিতি সহজ করার প্রচেষ্টায় স্পষ্ট। উদ্ভাবনের প্রতি কোম্পানীর প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয় এর প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে সেবা প্রদান বাড়ানো এবং গ্রাহকের অভিজ্ঞতা উন্নত করা।
ওরিয়েন্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (CSR) এর উপরও জোর দেয়, এমন উদ্যোগে জড়িত থাকে যা সমাজের মঙ্গলে অবদান রাখে। কোম্পানির CSR কার্যক্রমগুলি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দুর্যোগ ত্রাণের মতো ক্ষেত্রগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যার লক্ষ্য সমগ্র ভারত জুড়ে সম্প্রদায়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে, ওরিয়েন্টাল ইন্স্যুরেন্স শুধুমাত্র তার গ্রাহকদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে না বরং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখে।